Breaking News

সালাত তথা নামাযের ফরয হুকুম সমূহ জেনে নিন


সালাত তথা নামাযের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে তার প্রিয় পাত্র হয়। কাজেই বোঝা যায় যে, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সালাত।  এ সালাত শুদ্ধভাবে আদায় করতে হলে কতগুলো বিধান মেনে চলা আমাদের জন্য আবশ্যকীয়। ইসলামি শরীয়তের আলোকে
এ সংক্রান্ত আলোচনা তুলে ধরা হল।

সালাতের ফরজ সমূহঃ
ইসলামী জীবন বিধানের দ্বিতীয় স্তম্ভ হচ্ছে সালাত। এই সালাত আদায় করার কতিপয় অত্যাবশ্যকীয় করণীয় আছে, যা  অকাট্য দলিল দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। সেগুলোকে সালাতের ফরয বলা হয়। হানাফী মতাবলম্বীদের  মতে, সালাতের ফরজ ১৩ টি। সেগুলোকে আবার দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
ক) সালাতের শর্ত সমূহ।
খ)  সালাতের রুকন সমূহ।

ক) সালাতের শর্তাবলীঃ সালাতের শর্তাবলী ৭ টি। এগুলোর আলোচনা নিম্নরূপ-

১। নিয়ত করাঃ সালাত আদায়কারীকে পূর্ব থেকেই নির্দিষ্ট সালাতের কথা মনে মনে স্থির করতে হবে। কেননা হাদীসে এসেছে, ''ইন্নামাল আমালু বিন্নিয়াত''। অর্থাৎ, নিশ্চয়ই প্রতিটি কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। 

২। শরীর পাকঃ অযু কিংবা গোসলের প্রয়োজন হলে তা সমাধা করে শরীর পবিত্র করা।
৩। কাপড় পাকঃ যে কাপড় পরিধান করে সালাত আদায় করবে, তা পবিত্র হওয়া।
৪। সালাতের জায়গা পাকঃ যে স্থানে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে তা পবিত্র হওয়া।

৫। সতর ঢাকাঃ সতরের পরিমাণ হলো, পুরুষদের জন্য নাভি থেকে হাটুর নীচ পর্যন্ত, আর মহিলাদের জন্য হা্‌, প্‌ মুখ ব্যতীত সমস্ত শরীর।

৬। কিবলামুখী হওয়াঃ কাবা শরীফের দিকে মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করা।
৭। নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করাঃ শরীয়ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সালাত আদায় করা।




সালাতের রুকন সমূহঃ সালাতের রোকনসমূহ ৬ টি। নিম্নে তা আলোচনা করা হল-

১। তাকবীরে তাহরীমা বলাঃ  সালাতের শুরুতে আল্লাহু আকবার বা এ জাতীয় শব্দ দ্বারা সালাত শুরু করা।
২। কিয়াম করাঃ সক্ষম ব্যক্তির ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে হবে। তবে অসুস্থতা বা অন্য কোন ওজরে বসে কিংবা শুয়ে সালাত আদায় করতে পারবে।

৩। কেরাত পড়াঃ ফরয সালাতের প্রথম দুই রাকাতে এবং অন্যান্য সালাতের সকল রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে পবিত্র কুরআনের যে কোন সূরা অথবা বড়  এক আয়াত কিংবা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা রুকু করা।

৪। রুকু করাঃ এ সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশ, সিজদায় যাওয়ার পূর্বে সামনে কোমর পর্যন্ত ঝুকে পড়ে রুকু করতে হয়।
৫। সেজদা করাঃ নাক ও কপাল দ্বারা জমিনের উপর সেজদা করা।
৬। তাশাহুদ পাঠঃ শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পরিমাণ বসা।


হুকুমঃ উপরিউক্ত ১৩ টি বিষয় ইচ্ছায় হোক, বা অনিচ্ছায় হোক যদি এর একটিও অনাদায় থাকে,
তবে সালাত আদায় হবে না। আর এগুলো অস্বীকারকারী কাফের হিসেবে সাব্যস্ত হবে।



No comments