Breaking News

জেনে নিন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য সমূহ



পূর্বের লেখায় আমরা তুলে ধরেছিলাম স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য তথ্য অধিকার সমূহ। আর আজকের লেখায় আমরা তুলে ধরছি  স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার তথা কর্তব্যসমূহ। 
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।


স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য সমূহঃ স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনের পরিপূরক। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যেমন অধিকার তথা কর্তব্য রয়েছে, তেমনি স্ত্রীর প্রতিও স্বামীর অনেক কর্তব্য রয়েছে। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য সমূহ নিম্নরূপ-

১। উত্তম ভাবে জীবন যাপন করাঃ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব হলো  স্ত্রীর সাথে সর্বদা ভালো ব্যবহার করা, সৎভাবে জীবনযাপন করা, কখনো স্ত্রীকে ঘৃণা না করা।

২। ভরণপোষণের ব্যবস্থা করাঃ স্ত্রীর শোভনীয় মান অনুপাতে ভরণপোষণ নিয়মিত সরবরাহ করা স্বামীর অপরিহার্য কর্তব্য। যাতে স্ত্রী নিশ্চিন্তে ঘর সংসার পরিচালনা ও সংরক্ষণ করতে পারে।


৩। উত্তম বাসস্থানের ব্যবস্থা করাঃ নিজে দালানকোঠায় থেকে স্ত্রীকে ভাঙ্গা ঘরে রাখার অধিকার স্বামীর নেই; বরং স্ত্রীর জন্যও একটি উত্তম আবাসস্থান এর ব্যবস্থা করা স্বামীর একান্ত কর্তব্য।

৪। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণঃ    স্শিবামী যত বড় শিক্ষিত ও জ্ঞানী হোক না কেন তার উচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করা। কারণ তাদের ভিতরও এমন বুদ্ধি বিবেক লুকিয়ে থাকতে পারে, যা কার্যক্ষেত্রে অত্যাধিক কল্যাণকর। এর প্রমাণ পাওয়া যায় পবিত্র কুরআনে, যেখানে সন্তানকে কত দিন দুধ পান করানো হবে তা স্বামী স্ত্রীর পরামর্শের ভিত্তিতে নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৫।  ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করাঃ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এ জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান না থাকলে স্বামী তাকে শিক্ষা দিবেন, বা শিক্ষার ব্যবস্থা করবেন। কমপক্ষে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে শরীয়তের বিধি নিষেধ ও আহকামে শরীয়ত সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। অন্যথা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই গুনাহগার হবে।

৬। মোহর আদায় করাঃ বিয়ের সময় স্বামীর পক্ষ থেকে যে মোহর নির্ধারণ করা হয় তা পরিশোধ করা স্বামীর উপর ফরজ। কারণ এটি একটি ঋণ। স্বামীর অন্তরে মহর অনাদায়ের  ইচ্ছা থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অবৈধ হয়ে যাবে।

৭। স্ত্রীর সম্পত্তির প্রতি লোভ না করাঃ স্ত্রীর যদি কোনো সম্পত্তি থাকে কিংবা স্ত্রী যদি উপার্জন করে তবে স্বামী তার সম্পত্তি বা উপার্জনের দিকে কোন প্রকার লোভ করবে না, তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় এবং সন্তুষ্টচিত্তে কিছু দেয় তবে তা স্বতন্ত্র কথা।

৮। ক্ষমার মানসিকতা রাখাঃ স্ত্রীর দোষসমূহ  স্বামী ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। তার দোষ থাকলে তার গুণও নিশ্চয়ই আছে। স্বামী দোষের পরিবর্তে সেই গুনগুলোর কথা মনে করবে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক পন্থায় দোষ দূরীকরণের চেষ্টা করবে।

৯। স্ত্রীর গোপন কথা প্রকাশ না করাঃ স্ত্রী তার দেহ ও মন সবকিছু স্বামীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এমতাবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীর যাবতীয় গোপন বিষয় অবহিত হয়ে  তা অপর লোকের নিকট প্রকাশ করে দেয়, তবে তার মত নিকৃষ্ট ব্যক্তি আর কেউ হতে পারে না।

১০। নারী প্রকৃতির প্রতি লক্ষ্য রাখাঃ প্রকৃতিগত ভাবে নারীরা অবুঝের মত হয়ে থাকে,বিভিন্ন সময় তারা বুঝে কিংবা  না বুঝে স্বামীর অবাধ্য হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্বামীদেরকে অবিচল নিষ্ঠা ও অপরিসীম ধৈর্য ধারণ করে স্ত্রীকে স্বাভাবিক রাখতে হবে।



স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ই উভয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই একে অপরের প্রতি  দায়িত্বগুলো 
যথাযভাবে পালন করা উচিত।  




No comments