Breaking News

রমজানের ফযিলত কতটা গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের আলোকে জেনে নিন



রমজানের ফযিলতঃ
পবিত্র রমজান মাস আত্মশুদ্ধির মাস,আত্মসংযমের মাস। এ রমজানের ফজিলত অনেক।নিম্নে রমজানের ফজিলত এর বিস্তারিত বিবরণ হাদিসের আলোকে উপস্থাপন করা  হল -----


১।   হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন পবিত্র রমজান মাস আগমন করে তখন আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।

অপর এক বর্ণনায় এসেছে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয়। অপর এক বর্ণনায় এসেছে রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।


২। হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও  সাওয়াবের আশায় পবিত্র রমজানের রোজা রাখে তার পূর্বের সমুদয় সগিরা গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমযানের রাত ইবাদতের কাটাবে তার পূর্বের গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় কদরের রাত ইবাদতের কাটাবে তারও পূর্ব কৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।                                                                                                                                                                                 ( বুখারী ও মুসলিম )

৩। হযরত সালমান ফারসী (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি বললেন,
হে মানবমন্ডলী, তোমাদের উপর এক মহান ও বরকত পূর্ণ মাস ছায়া বিস্তার করেছে। এটা এমন মাস যাতে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম একটি মহিমান্বিত রজনী রয়েছে। এই মাসে মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য রোজাকে ফরজ এবং রাতে নামাজ আদায় করাকে নফল করেছ।

যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় একটি নফল কাজ করবে, সে ওই ব্যক্তির সমান হবে যে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করেছে আর এই মাসে যে ব্যক্তি একটি ফরজ আদায় করল সে ওই ব্যক্তির সমান হবে যে অন্য মাসে ৭০ টি ফরজ আদায় করে।
এটা ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্যের প্রতিদান হলো জান্নাত। এটা পারস্পরিক সহানুভূতির মাস। এটা এমন বরকত পূর্ণ মাস যাতে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করা হয়। এ মাসে যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে তা তার জন্য গোনা মাফের মাধ্যম হবে এবং নিজের জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তির কারণ হবে। আর তাকে রোজাদার ব্যক্তির সমান সওয়াব প্রদান করা হবে এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কোন অংশ কমানো হবে না।
আমরা বললাম হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের সকলের তো তেমন সামর্থ্য নেই যা দ্বারা একজন রোজাদারকে ইফতার করাব। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
যে ব্যক্তি রোজাদারকে এক চুমুক দুধ অথবা একটি খেজুর অথবা একটু পানি দ্বারা ইফতার করাবে তাকেও আল্লাহ এই পরিমান সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে পরিতৃপ্তির সাথে খাওয়াবে আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউজে কাউসার হতে কেয়ামত দিবসে পানি পান করাবেন।

ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত আর তৃষ্ণার্ত হবে না। আর এটা এমন মাস যার প্রথম ভাগ রহমত মধ্যভাগ ক্ষমা এবং শেষ ভাগ জাহান্নাম হতে মুক্তির। যে ব্যক্তি এ মাসে তার অধীনস্থ চাকর-বাকরের কাজের ভার হালকা করে দেবে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করব।

৪। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বরনিত। তিনি বলেন, যখন পবিত্র রমজান মাস আগমন করত তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব বন্দিকে মুক্ত করে  দিতেন এবং সব সাহায্যপ্রার্থীকে দান করতেন।


প্রিয় নবী সঃ এর হাদিস কে মেনে চলার তৌফিক আল্লাহ তা'আলা আমাদের  সকলকে দান করুন।                                                                                                                                                         ( আমিন )

No comments